hoihullor holidays

Amiakhum Nafakhum Adventure

Amiakhum Nafakhum Adventure

আমিয়াখুম | নাফাখুম | অ্যাডভেঞ্চার 

আমিয়াখুম জলপ্রপাত বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার অন্তর্গত  থানচি উপজেলার শেষ প্রান্তে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে, নাক্ষিয়ং নামক স্থানে অবস্থিত একটি জলপ্রপাত। মারমা ভাষায় খুম শব্দের অর্থ হলো জলপ্রপাত। তাই আমিয়াখুম এর অর্থ দাঁড়ায় – আমিয়া’র জলপ্রপাত। প্রাকৃতি সৌন্দর্যের জন্য একে বলা হয়ে থাকে ‘বাংলার ভূস্বর্গ’। এই জলপ্রপাতের প্রধান আকর্ষণ, অরণ্য-সবুজ পাহাড়ি ধাপে নেমে আসা দুধসাদা ফেনাযুক্ত জলরাশি। এই জলরাশির চারপাশটা বেশ ফাঁকা থাকায়, পুরো জলপ্রপাতকে ক্যানভাসে আঁকা সজীব চিত্র মনে হয়। আমিয়াখুম জলপ্রপাত জলপ্রপাতটি দুর্গম এলাকায়। অতি দুর্গম এলাকায় আমিয়াখুম জলপ্রপাতের অবস্থান হওয়ায় খুব বেশি পর্যটক আমিও খুব ভ্রমণ করতে পারে না। বছরে হাজার দশেক লোক আমিয়াখুম জলপ্রপাত (Amiakhum Nafakhum Adventure) ভ্রমণ করে থাকেন। 

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নাফাখুম জলপ্রপাত বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায় অবস্থিত। নদীতে এক ধরনের মাছ পাওয়া যায়, ওই মাছের নাম নাফা আর খুম অর্থ জলপ্রপাত। নাফা ও খুম দুটি শব্দ যোগ করে জলপ্রপাতের নাম করা হয় নাফাখুম । জলপ্রপাতের জায়গাটি পড়েছে বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নে। থানচি বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ৭৯ কিলোমিটার দূরে। রেমাক্রি খালের পানি নাফাখুমে এসে বাঁক নিয়ে নেমে গেছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ফুট নিচে। আর এতেই জন্ম নিয়েছে প্রাকৃতিক এই জলপ্রপাত। প্রচণ্ড গতির জলীয় বাষ্পে প্রায়ই সূর্যের আলোয় ঝলমল করে ওঠে রংধনু। এছাড়াও ভীষণভাবে আছড়ে পড়া পানি ঝরনার চারদিকে সৃষ্টি করে ঘন কুয়াশা। উড়ে যাওয়া বা ছিটকে পড়া পানি বাষ্পে ভেসে এসে শরীরে স্পর্শ করে। ঠিক কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাতের মেতো। আর এই কারণেই নাফাখুমকে বাংলার নায়াগ্রা বলা হয়ে থাকে। হৈ-হুল্লোড় হলিডেজ  আমিয়াখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ (Amiakhum Nafakhum Adventure) প্যাকেজ আয়োজন করে থাকে।

গন্তব্য: আমিয়াখুম | নাফাখুম 

ভ্রমনের ধরন: হেভি ট্রেকিং ও অ্যাডভেঞ্চার

-ইভেন্ট ফি:

ঢাকা-আমিয়াখুম-নাফাখুম-ঢাকা | ৪ রাত ৩ দিন
জনপ্রতি ৮৫০০
বুকিং মানি: ৫০% (ফেরত যোগ্য নয়)

ব্যাংক একাউন্ট:
227 11000 14663
HOIHULLOR HOLIDAYS
Dutch Bangla Bank Ltd (Tejgoan Branch)
BKash/Nagad/Rocket: 01911 060900

ভ্রমণ করব :

-থানচি বাজার
-সাংগু নদী
-জিন্নাহপাড়া
-থুইসাপাড়া
-দেবতা পাহাড়
-আমিয়াখুম
-নাইক্ষংমুখ
-ভেলাখুম
-সাতভাইখুম
-রাজাপাথর
-কলসী পাথর
-বড় পাথর
-নাফাখুম
-রেমাক্রি ফলস
-তিন্দু

যা যা থাকছে

-ঢাকা টু বান্দরবান টু ঢাকা নন এসি বাস
-চান্দের গাড়ি
-৩ দিনে ৯ বেলা খাবার
-উপজাতি ঘরে/কটেজে ২ রাত থাকা
-বোট ভাড়া
-গাইড খরচ
-লাইফ জ্যাকেটের ভাড়া
-কটেজে শেয়ার ব্যাসিসে সবাইকে মিলেনিশে থাকতে হবে।
-মেয়েদের জন্য আলাদা থাকার ব্যাবস্থা থাকবে।
খাবারের মান যতটা ভাল করা যায় চেষ্টা করা হবে (পাহাড়িদের খাবার যে সিস্টেম সেভাবেই হবে।)

ভ্রমণের মধ্যে থাকছে না:

-বাসের যাত্রা বিরতির খাবার
-ব্যক্তিগত খরচ
-প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমিধস , রাস্তা অবরোধের , রাজনৈতিক গোলযোগ ( ধর্মঘট ), সড়ক দুর্ঘটনা ইত্যাদি কারণে যদি ইভেন্ট খরচ বৃদ্ধি পায় কোন খরচ সকলে মিলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলেই বহন করতে হবে।

-খাবার মেন্যু: খাবারের মান যতটা ভাল করা যায় চেষ্টা করা হবে (পাহাড়িদের খাবার যে সিস্টেম সেভাবেই হবে)

সাথে নিতে হবে:

ট্যুরে যার ব্যাগ যত বেশি হাল্কা সে তত বেশি রিল্যাক্সে ঘুরতে পারে
-অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড ও ভোটার আইডির ফটোকপি সঙ্গে নিবেন। (৫ কপি)
-শুকনা খাবার (খেজুর, বিস্কিট, পানির বোতল)
-সানগ্লাস
-ছাতা
-গামছা
-ব্রাশ
-প্রয়ােজনীয় ঔষধ
-হ্যাট/ক্যাপ
-পাওয়ার ব্যংক (কোন প্রকার বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে না)
-ক্যামেরা ও এক্সট্রা ব্যাটারি।
-সেল্ফি স্টিক।
-পলি ব্যাগ
-ওডোমাস ক্রিম
-পাহাড়ে উঠার মত কেডস/সেন্ডেল।
-টর্চ লাইট
-পানির বোতল।
-অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সাথে রাখতে হবে।

বুকিং কনফার্ম করার আগে যে ব্যাপার গুলো অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে: 

-এই ট্রিপ কোনভাবেই আরামের কোন ট্রিপ নয়। এটি একটি এক্সট্রিম ট্রিপ। যারা যত কম ট্রেকিং ট্রিপ করেছেন, তার জন্য এই ট্রিপ ততটাই কষ্টদায়ক আর রোমাঞ্চকর হবে।
-এখানে প্রচুর পরিমাণ হাঁটতে হবে এবং অনেকগুলো খাড়া পাহাড় হেঁটে হেঁটেই পার হতে হবে। একজন একটু ধীরে হাঁটা মানেই পুরো টিমের গতি কমে যাওয়া, তাই এই ট্রিপে একদমই হাঁটার অভ্যাস নাই, এমন কেউ এলাউড না।
-এই ট্রিপে পার্মিশন নিয়ে আর্মি আর বিজিবি খুব ঝামেলা করে, অনেক ক্ষেত্রে গালাগালও শুনতে হয়। মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে।
-নিজের ব্যাগ, পানির বোতল, খাবার সবকিছু নিজেদেরকেই বহন করতে হবে। (Amiakhum Nafakhum Adventure)
-যেহেতু ইহা একটি ট্র‍েকিং ট্যুর সেহেতু খাওয়াদাওয়া এই ট্যুরে ঠিক সময়ে সরবরাহ করা নাও হতে পারে। এডমিনরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবে সব ঠিকঠাক রাখার। বাকিটা আপনাদের মেনে নিতে হবে।
-যেকোন প্রকার নেশা জাতীয় দ্রব্য বহন করা ও গ্রহণ করা সম্পূর্ণ ভাবে নিষেধ। এই কাজ কেউ করলে সাথে সাথে টিম থেকে অপমান করে বের করে দেয়া হবে।

ভ্রমন বিস্তারিত :

ঢাকা সায়দাবাদ/কলাবাগান থেকে বান্দরবনের উদ্দেশ্যে বাসে উঠবো রাত ৯-১০ টায়

প্রথম দিন
-সকালে বাস থেকে নেমে যত দ্রুত সম্ভব নাস্তা সেরে চান্দের গাড়িতে অথবা বাসে করে চলে যাবো থানচি, সেখানে দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে পার্মিশন নিয়ে নৌকায় করে করে চলে যাব পদ্মমুখ। হাটা শুরু এখান থেকে। টানা ৪-৬ ঘন্টা হাটা পথ। পাহাড়ী পথ আর ঝিরির রোমাঞ্চকর পথ পেরিয়ে আমরা পৌছাব থুইসাপাড়ায়। রাতে থুইসাপাড়ায় থাকা।

দ্বিতীয় দিন
সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে আমিয়াখুমের উদ্দেশ্যে যাত্রা। আমিয়াখুম থেকে ফিরে এসে নাফাখুমের দিকে হাটা শুরু করব সবাই। থুইসাপাড়া থেকে ২-৩ ঘন্টা হেটে পৌছাব আমরা নাফাখুম পাড়ায়। পাড়ায় পৌছে ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খাব সবাই। রাতে এখানেই গানের আসর তারপর ঘুম।

তৃতীয় দিন
ঘুম থেকে উঠে একটু আরাম করেই ৯টার মাঝে রেমাক্রির উদ্দেশ্যে হাটা শুরু করব। রেমাক্রি পৌছে বোটে থাঞ্চি এসে দুপুরের খাবার খেয়ে চাঁদের গাড়িতে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে যাত্রা। রাতের খবার খেয়ে ঢাকার বাসে উঠে বসব সকলে। (Amiakhum Nafakhum Adventure)

সব ঠিকঠাক থাকলে ভোর ৬ টার মাঝে আমরা ঢাকায় পৌছাব।

-বিশেষ দ্রষ্টব্য : নির্দেশনা & শৃঙ্খলা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে।

hoihullor holidays
01678011634 | 01911911905 | 01911060900
Office: Ka-200, S-12, Vhai Vhai Market, Amtola, Khilkhet, Dhaka-1229