সাফারি পার্ক & নুহাশ পল্লী ডে লং ভ্রমণ
Safari Park & Nuhash Polli Day Long Tour Package
গন্তব্য: সাফারি পার্ক & নুহাশ পল্লী
খরচ
জন প্রতি ৩০০০
শিশু পলিসি
– ০ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত ফী লাগবেনা
– ০৪ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত ২৫০০
– ১২ বছরের উপরে হলে অ্যাডাল্ট গণ্য হবে
বুকিং মানি: ৫০% (অফারত যোগ্য)
নুহাশ পল্লী
হুমায়ূন আহমেদ-কে সবাই চেনেন, তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৪০ বিঘা জায়গা নিয়ে তৈরি করেছেন ‘নুহাশ পল্লী’। নুহাশপল্লী গাজীপুরে অবস্থিত একটি বাগানবাড়ী, নুহাশ চলচিত্রের শুটিংস্পট ও পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র।নুহাশপল্লীতে ঢুকে মাঠ দিয়ে একটু সামনে এগিয়ে গেলে হাতের বামপাশে শেফালি গাছের ছায়ায় নামাজের ঘর।এরপাশেই পুরনো লিচু বাগানের উত্তর পাশে জাম বাগান আর দক্ষিণে আম বাগান। ওই লিচু বাগানের ছায়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ।
নুহাশ পল্লীর পুরো জায়গাটি সবুজ গাছপালা দিয়ে আবৃত। দেখলেই মন জুরিয়ে যাবে। এখানে অনেক প্রজাতির এবং অনেক রকমের গাছ রয়েছে।গাছের গায়ে সেটে দেয়া পরিচিতিফলক রয়েছে। আরও রয়েছে সুইমিংপুল আর ছোট্ট পুকুর। মাঠের মাঝখানে একটি গাছের উপর ঘর তৈরি করা আছে, যা আবাক করবে আপনাকে! হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রায় অনেক নাটক সিনেমার অন্যতম শুটিংস্পট এটি।
তাই যারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের ভক্ত আছেন তারা অবশ্যই এই জায়গায় ঘুরে আসুন।
নুহাশপল্লীতে ঘুরে দেখার জন্য অনেক কিছুই রয়েছে যেমন
– গ্রামের বিশাল সবুজ মাঠ।
– প্রায় ২৫০ প্রজাতির গাছ।
– হুমায়ুন আহমেদের কটেজ, ট্রিহাউজ, দাবা খেলার এবং নামাজপড়ার কক্ষ।
– ডিম্বাকৃতির সুইমিংপুল।
– টিনশেডের বিশাল বারান্দাসহ ‘বৃষ্টিবিলাস’ কটেজ ও ভুতবিলাস কটেজ।
– কাদামাটি ও টিন দিয়ে তৈরি করা শুটিং স্টুডিও।
– ঔষধি গাছের বাগান।
– মৎস্য কন্যার মূর্তিসহ একটি পানির রিজার্ভার। এটির পাশে একটি রাক্ষসের মূর্তিও আছে।
– কনক্রিট দিয়ে তৈরি ডাইনোসারের মূর্তি।
– প্রাচীন আদলে নির্মিত কিন্তু আধুনিক ঘাট সমৃদ্ধ দিঘাল দীঘি।
– লেকের মাঝে বসার জন্য একটি ছোট দ্বীপ রয়েছে।
– এছাড়াও রয়েছে শালবন, অর্কিড বাগান সহ এখানকার তিনটি বাংলো।
বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক
বিস্তৃত শালবনের ভেতর প্রাচীর দিয়ে তৈরি এই পার্ক। ভেতরআছে সরু পিচঢালা সড়ক। দু’দিকে নানা প্রজাতির গাছ দিয়ে বিস্তৃত।থাইল্যান্ডের সাফারী ওয়ার্ল্ডের সাথে সামঞ্জস্য রেখেএশিয়ার সর্ববৃহত্তম বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক বাংলাদেশের গাজীপুরে নির্মিত হয়েছে । ২ ইঞ্চি কাচের দেয়াল দিয়ে ঘেরা আছে হিংস্র বন্য পশুদের জায়গা। তাই আপনি তাদের কাছ থেকে দেখতে পারলেও ভয়ের কোন কারণ নেই। তাছাড়া খুব সুন্দর ব্যবস্থায় তৈরি করা হয়েছে এটি।
যা যা আছে
পার্ক সমন্ধে যেকোনো তথ্য জানার জন্য এখানে প্রথমেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও শিক্ষা কেন্দ্র।কোর সাফারী পার্কে বন্য প্রাণীরা স্বাধীনভাবে বিচরণ করে।পার্কের গাড়িতে চড়ে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পারেন বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক, আফ্রিকান চিতা, চিত্রা হরিণ,জলহস্থি, নীল গাই, এবং আরও অনেক বিদেশী বন্য পশুও। তবে এখানে ঢুকতে ২০০ টাকা দিয়ে জন প্রতি টিকিট কাটতে হয়। সাফারি কিংডমে রয়েছে প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র, জিরাফ ফিডিং স্পট ও পেলিকেন আইল্যান্ড।মজার বিষয় হলো এখানে বিশাল জায়গা নিয়ে পাখিদের রাখা হয়েছে। পাখির খাঁচার কাছে যেতেই আপনার মন আনন্দে ভরে উঠবে। নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখি এখানে আছে।
ওয়াচ টাওয়ার থেকে আপনি দেখতে পাবেন সমগ্র সাফারী পার্কের মনোরম দৃশ্য। দেখতে পাবেন পার্কের ভিতর বিচরণরত বন্যপ্রাণী।
এশীয় তৃণভোজী এবং ছোট মাংসাশী প্রাণী, পাখি সরিসৃপ ও উভয়চর প্রাণী নিয়ে এক্সটেনসিভ এশিয়া সাফারি প্রতিষ্ঠিত।এ ছাড়া তৈরি করা হয়েছে হাতির আশ্রম।বন্য পশুপাখির জলের চাহিদা পূরণ করার জন্য আছে আটটি জলধারা ও দুটি কৃত্রিম হ্রদ। এ ছাড়াও সাফারী পার্কে আছে বাটারফ্লাই পার্ক,বায়ো-ডাইভারসিটি পার্ক,স্নেক পার্কে ক্রোকোডাইল ও লিজার্ড পার্ক।সাফারী পার্কে হাতির পীঠে উঠার ব্যবস্থাও আছে।
প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত
– ঢাকা –নুহাশ পল্লী-বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক-ঢাকা এসি মাইক্রো (রিজার্ভ) সার্ভিস।
– নুহাশ পল্লী তে প্রবেশ টিকেট।
– সাফারী পার্কে প্রবেশের টিকেট।
– ৩ বেলা খাবার ( সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকালের হালকা নাস্তা। (দুপুরের খাবার নুহাশ পল্লীতে)
– নুহাশ পল্লীতে সব দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন
– সাফারী জীপে করে পুরো সাফারী পার্ক পরিদর্শন।
– প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন।
– বার্ড শো গ্যালারী পরিদর্শন।
– ফেন্সী কার্প গার্ডেন গ্যালারী পরিদর্শন ।
– মেরিন এ্যাকুরিয়াম গ্যালারী পরিদর্শন।
– মেকাউ পাখিশালা গ্যালারী পরিদর্শন।
– প্যারাট্রুপার পরিদর্শন।
– রোলার কোস্টার পরিদর্শন।
– প্রফেশনাল ট্যুর ফটোগ্রাফার।
– দক্ষ গাইড।
প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত নয়
– কোন রাইড এর খরচ
– ব্যক্তিগত খরচ
ভ্রমণ পরিকল্পনা
– সকাল ৮ টায় শাহবাগ থেকে বসে রওনা হবো নুহাশ পল্লীর উদ্দেশ্যে।
– বেলা ১১ টায় পৌছাবো নুহাশ পল্লী।
– নুহাশ পল্লী তে প্রবেশের আগে নাস্তা করবো আমরা।
– বেলা ১১:৩০ মি. থেকে নুহাশ পল্লী ভ্রমণ শুরু।
– দুপুর ২:০০ মি লাঞ্চ করবো. (লাঞ্চ নুহাশপল্লীতে) লাঞ্চের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে রওনা হবো।
– বিকালে খাবে কিছু হালকা নাস্তার ব্যবস্থা।
– সন্ধ্যা ০৫:৩০ টায় আমরা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবো. পৌছাবো ইন্শাআল্লাহ রাত ০৮ টায়।
খাবার
– সকাল: পরোটা, ভাজি/ডাল, ডিম, চা।
– দুপুর: চিকেন বিরিয়ানি অথবা মাটন বিরিয়ানি অথবা চার পদের ভর্তা, ভাজি, মুরগীর ঝাল ফ্রাই, ডাল, কোল্ড ডিঙ্কস, পানি।
– বিকাল: স্ন্যাকস, চা।
– বিশেষ দ্রষ্টব্য : নির্দেশনা & শৃঙ্খলা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে।
hoihullor holidays
01678011634 | 01911911905 | 01911060900
Office: Ka-200, S-12, Vhai Vhai Market, Amtola, Khilkhet, Dhaka-1229
#Dhaka